মাসুদ রানা,পত্নীতলা প্রতিনিধিঃ মানব জাতির মহোত্তম পথপ্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা:)এর জন্ম ও ওফাতেরদিন উপলক্ষে পত্নীতলায় পবিত্র ঈদ-ঈ মিলাদুন্নবী(সা.)পালন করা হয়েছ শনিবার ( ৮ অক্টোবর) রজনীতে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে বাদ এশা পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর জীবনী ও আদর্শের উপর ঘন্টাব্যাপি ইসলামী আলোচনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন নজিপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নুর -ই -তৌহিদ, মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও মুসল্লিবৃন্দ প্রমূখ। হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মনিরুল ইসলাম আলোচনায় বলেন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী ও আদর্শ অল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবেনা। পুরো কোরআন শরিফই নবীর উত্তম আদর্শ। সবাই কে নবীর আদর্শ মেনে চলার আহবান জানান । আলোচনা শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গাফ্ফার, নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরীসহ জীবত ব্যক্তিদের চির সুস্থতা ও মৃত ব্যক্তিদের জান্নাত কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ইসলামি জার্নাল হতে জানা যায় রবিবার ১২ রবিউল আউয়াল। ৫৭০ সালের এই দিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)নামে পরিচিত।এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। একসময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এই ধরাধামে প্রেরণ করেন। মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী খাদিজা নামে এক ধনাঢ্য নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন। পবিত্র কোরআন শরিফে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭) এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।