নওগাঁ নিউজ ডেস্কঃ শনিবার বিকালে শহরের দক্ষিণ সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এসমাবেশ হয় । নওগাঁ জেলা ধান্য বয়লার ও অটো সার্টার শ্রমিক ইউনিয়ন এর আয়োজন করে সমাবেশে বক্তারা বলেন,ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত না থাকায় একেক চালকল একেক রকম মজুরি দিচ্ছে। একজন শ্রমিক দিনে কোথাও ১৫০ টাকা, কোথাও ২০০ টাকা, কোথাও ২৫০ টাকা মজুরি পান। সঙ্গে তিন বেলার খাবার হিসেবে কোথাও এক কেজি, আবার কোথাও দুই কেজি করে খুদ (ভাঙা চাল) দেওয়া হয়। বর্তমান বাজারে এই মজুরি দিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে শ্রমিকরা হিমশিম খাচ্ছেন, বলেন তারা। সরকারের মধ্যস্থতায় মালিক-শ্রমিকদের আলোচনার ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবি জানান বক্তারা। জেলা ধান্য বয়লার ও অটো সার্টার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোজাফফর হোসেনের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ধান্য বয়লার ও অটো সার্টার শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির নওগাঁ জেলার সভাপতি মোহসীন রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। জলি তালুকদার বলেন, গত ৩০ বছরে চালকল মালিকদের উন্নতি হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সরকার বলছে, দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ চাতাল শ্রমিকদের কোনো খাদ্য নিরাপত্তা নেই। শিক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা নেই। নওগাঁয় চালকল শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ “যে চাতাল শ্রমিকের রক্ত-ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে মানুষ শুদ্ধ চালের ভাত খায়, সেই শ্রমিক ও তাদের সন্তানেরা খুদ খেয়ে জীবন ধারণ করেন। বর্তমান বাজারে একজন মানুষের দৈনিক মজুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মজুরি অমানবিক। এই মজুরি কমপক্ষে ৫০০ টাকা হওয়া উচিৎ।” মোহসীন রেজা বলেন, জেলায় বর্তমানে প্রায় এক হাজার ২০০ চালকল আছে। এসব কলে ৩০ হাজারের ওপর শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৭০ শতাংশের ওপরে। বর্তমানে চালকল শ্রমিকেরা যে বেতন পান এটা অমানবিক। “চালকল শ্রমিকরা চান শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হোক।” সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইজুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী, সিপিবি নেতা আলিমুর রেজা রানা এবং মোমিনুল ইসলাম স্বপন।