(জাতীয় সমবায় দিবস)
২ নভেম্বর জাতীয় সমবায় দিবস। প্রতি বছর বাংলাদেশে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালিত হয়। প্রত্যেক বছর নতুন প্রতিপাদ্য বিষয় প্রচার হয় এবং সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার অঙ্গীকার প্রকাশ করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সমবায় আন্দোলনের অগ্রগতি নিতান্তই সীমিত এবং অনেক ক্ষেত্রে পূর্বেকার সাফল্যকে ধরে রাখতে পারেনি। সংবিধান সমবায়কে যে মর্যাদা দিয়েছে, তা সুসংহত করতে আমরা এখনো সফল হতে পারিনি। ১৯৯৫ সালে ম্যানচেস্টার আন্তর্জাতিক সমবায় এলায়েন্স ঘোষণায় সমবায়ের যে ৭টি নীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছিলো তার মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মূলত সমবায় সমিতিসমূহের মধ্যে সহযোগিতা থাকলে সমবায় আন্দোলন বেগবান হতে বাধ্য।
১৯১৬ সালের এ দিনে পবিত্র মক্কা ও মদীনা শহরের গভর্নর শরীফ হোসেন নিজে সমস্ত আরব ভূখন্ডের সুলতান বা বাদশাহ বলে ঘোষণা করেন। তিনি একই বছরের ৫ ই জুন বৃটেনের উস্কানীতে তুরস্কের ওসমানীয় খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন। এ সময় তুরস্ক সরকার প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে জার্মানীর পক্ষে থেকে বৃটেন ও তার মিত্র শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। বৃটেন এই যুদ্ধের পর শরীফ হোসেনকে স্বাধীন হেজাজ বা বর্তমান সৌদী আরবের বাদশাহ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে ওয়াদা দিয়েছিল। কিন্তু বৃটেন সেই ওয়াদা পূরণ করে নি। কারণ, কার্যক্ষেত্রে লন্ডন সৌদ পরিবারকে শরীফ হোসেনের মোকাবেলায় সমর্থন করতো। তবে আরবদের মধ্যে নিজের ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য বৃটেন তার কর্তৃত্বাধীন ইরাক ও জর্দানে শরীফ হোসেনের সন্তানদেরকে ক্ষমতাসীন করে।
১৯১৬ সালের এ দিনে বৃটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস আর্থার বেলফোর ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য তথাকথিত আবাসভূমি বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বৃটেনের সম্মতির কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা বেলফোর ঘোষণা নামে খ্যাত। এ ঘোষণা অনুযায়ী বৃটেন ফিলিস্তিনে কথিত ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করে। ফিলিস্তিন সে সময় বৃটেনের কর্তৃত্বাধীনে ছিল। অবশেষে বেলফোর ঘোষণার ৩১ বছর পর ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনীদের সমস্ত অধিকার পদদলিত করে বৃটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই দিনে ফিলিস্তিনী জনগণসহ বহু মুসলিম দেশে বেলফোর ঘোষণার দিবসটি কালো দিবস এবং নিন্দা ও ক্ষোভের দিবস হিসেবে পালিত হয়।
১৯৪৯ সালের এ দিনে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এর আগে দেশটি সাড়ে তিন’শ বছর ধরে হল্যান্ডের উপনিবেশ ছিল। ১৯৪৫ সালের আগষ্ট মাস থেকে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতাকামীদের সাথে ডাচ সেনাদের তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের দোসরা নভেম্বর হল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতাকামীদের নেতা ডক্টর আহমদ সুকর্ণ এবং আহমদ হাত্তার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ডাচ সেনারা ইন্দোনেশিয়া ত্যাগ করতে সম্মত হয়। সে সময় ইন্দোনেশিয়াকে হল্যান্ডের ভারত বলা হত।
স্বাধীনতা লাভের পর ডক্টর আহমদ সুকর্ণ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে জেনারেল সুহার্তোর নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। এরপর থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জেনারেল সুহার্তোই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার আয়তন বিশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি এবং তাদের শতকরা ৮৮ ভাগই মুসলমান। বসবাসযোগ্য ও আবাসনের অযোগ্য হাজার হাজার দ্বীপ নিয়ে এই রাষ্ট্রটি গঠিত বলে দেশটিকে হাজারো দ্বীপের দেশ বলা হয় ।
৬২০ হিজরীতে প্রখ্যাত মিশরীয় ফক্বীহ ও মুফাসসির ইবনে মুনীর আলেক্সান্দ্রিয়া শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ৬৩ বছর বয়সে আলেক্সান্দ্রিয়া শহরেই ইন্তেকাল করেন। তাকে জামে আল মুনীর নামে খ্যাত মসজিদে দাফন করা হয়। ইবনে মুনীর তাফসিরসহ বিভিন্ন ইসলামী বিষয়ে অনেক মূল্যবান বই লিখে গেছেন। এসব বই বেশ কয়েকবার কায়রো থেকে প্রকাশিত হয়েছে ।
১৯৭৪ সালের এ দিনে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও লেখক বরকতউল্লাহ ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৮৯৮ সালের দোসরা মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার ঘোড়াশাল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। কারবালা, পারস্য প্রতিভা, নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও মানুষের ধর্ম বরকতউল্লাহর লেখা কয়েকটি বিখ্যাত বই।
২০০৪ সালের এ দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে মজুদ সকল এন্টি পার্সোনেল মাইন বা মানব বিধ্বংসী মাইন ধ্বংস করা হয়।
লন্ডনে লর্ড ক্লাইভের আত্মহত্যা (১৭৭৪)
বিখ্যাত ইংরেজ আইন সংস্কারক স্যামুয়েল রোমিলির মৃত্যু (১৮১৮)
ইসমাইলী মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা আগা খান (তৃতীয়)এর জন্ম (১৮৭৭)
লন্ডনে মহিলাদের দৈনিক পত্রিকা হিসেবে ডেইলি মিরর’ এর প্রকাশনা শুরু (১৯০৩)
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস ব্যালফোর ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জন্যে পৃথক রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার অনুমোদন সূচক ব্যালফোর ঘোষণা দেন (১৯১৭)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের প্রথম নিয়মিত বেতার সম্প্রচার শুরু (১৯২০)
হাইলে সেলাসি ইথিওপিয়ার সম্রাট পদে অভিষিক্ত (১৯৩০)
বিশ্বখ্যাত নাট্যকার বার্ণাড শ’র মৃত্যু (১৯৫০)
বাদশা ফয়সলের সৌদি আরবের সিংহাসনে আরোহন (১৯৬৪