পত্নীতলা প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় বাল্যবিবাহ দেওয়ায় ইউএনওর নাম বলে মেয়ের বাবার কাছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো: ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আব্দুল মালেক এর মেয়ে মোছা: আশা খাতুন (১২ ) এর সাথে একই এলাকার জামাল উদ্দীনের ছেলে মো: মানিক হোসেন (২৬) এর সাথে চলতি বছরের গত ১৭ জুন স্থানীয় মৌলভী দ্বারা এই বাল্যবিয়ে সম্পূর্ণ হয়। এ বাল্যবিয়ের পরপরই ওই ওয়ার্ড মেম্বার মো: ইউসুফ আলী আশা খাতুন এর বাবা আব্দুল মালেক কে জানায়, তার নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বিষয়ে এবাদত আলী নামে একজন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেছেন। যে কারণে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিটন সরকার সত্যতা যাচাই- বাছাই এর জন্য তার ( মেম্বার ) উপর দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মেম্বার ইউসুফ আলী মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক কে বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি দেখান যে, আপনি তো আইনী ভাবে ফেঁসে গেছেন। কারণ আপনি নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক মেম্বার মো: ইউসুফ আলীর কাছে এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের উপায় জানতে চার। তখন মেম্বার ইউসুফ জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে ( সাবেক ) ১০ হাজার টাকা দিতে পারলে তিনি সমস্যাটি সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। আইন আদালতের ভয়ে আশা খাতুনের বাবা আব্দুল মালেক এক প্রকার বাধ্য হয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে দেবার জন্য মেম্বার ইউসুফ আলীর চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এদিকে এক বিয়ের সমাধান না হতেই ওই ইউপি সদস্যের সহায়তায় আশার স্বামী মানিক আবার বাল্য বিবাহ করেছে বলেও জানা গেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী বলেন আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব করছে। এবিষয়ে বর্তমান ইউএনও মোছা: রুমানা আফরোজ বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে ।