আবদুর রহিম,কক্সবাজারঃ গভীর সাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডে সর্বসাধারণের অবহিতকরণ ও তাদের জান মাল রক্ষায় সচেতনমূলক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া কমিউনিটি তথ্যসেবা কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য অলি আহমদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পুতুল রানী বড়ুয়া,সিপিপির ইউনিয়ন টিম লিডার সোহেল সিকদার, ব্যবসায়ীক প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক, ইমাম প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি হাসিনা আকতার, সরকারি কর্মকর্তা মমতাম আহমেদ, ধর্মীয় প্রতিনিধি প্রভাত বড়ুয়া, প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি মো: রফিক, সরকারি প্রতিনিধি নুরুল হক,গণমাধ্যম কর্মী ফেরদৌস ওয়াহিদ, এনজিও প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, সদস্য হাসিনা আকতারসহ আরো অনেকেই।
এ ছাড়া এলাকার মান্যগণ্য ও সেচ্চাসেবী ব্যাক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠিত সভায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকার আহবান করেন উপস্থিত বক্তারা। এ সভায় প্রাথমিকভাবে সবাইকে দায়িত্ব এবং প্রস্তুতির জন্য দিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুত্রমতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসছে।
উপজেলা সুত্রে জানা যায়,উপজেলায় ৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৬০০ সেচ্ছাসেবক শুকনো খাবার প্রস্তুত আছে৷’উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ‘মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। তাই উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকার সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান উখিয়ার সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শনে জানান ‘কক্সবাজারে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার পর উপকূলীয় এলাকায় সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় উপজেলার সাইক্লোন শেল্টার গুলো পরিদর্শন করেছি এবং সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে’৷