নওগাঁ নিউজ ডেস্কঃ
নওগাঁ মহাদেপপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর গ্রামে জমি নিয়ে মারামারিতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে মর্মে জানা গেছে। জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৩ মে শনিবার প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের পূত্র আসাদুল ইসলাম নান্টু(৩৬), জাহাঙ্গীর আলম(৫০), মোঃ লেলিন, মোঃ রতন, মোঃ মনসুর আলী গং একতাবদ্ধ হয়ে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, মিনহাজ (১৬) এর সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে।
পরে খড় পালা দিতে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। প্রথমে অকথ্য,অশালীন ভাষায় গালিগালাজ সহ পরবর্তীকালে বাঁশ, লাঠি-সোটা, দেশীয় অস্ত্রসহ আক্রমণ করে। এতে দেলোয়ার হোসেনের(৫০) শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম প্রাপ্ত হয়ে ফুলে যায়। তার ছেলে মিনহাজ(১৬) এসএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। একই সাথে অভিযোগকারী শিমু আক্তারের দেবর নুরুজ্জামান প্রতিপক্ষের দা’ এর কোপে জখমপ্রাপ্ত হলে হাসপাতালে তাকে ০৭টি সেলাই দিতে হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান,তারা উক্ত ১১ শতক জমি ২২-২৩ বছর আগে ক্রয় করে কবলামূলে নিজনামে খারিজপূর্বক নিয়মিত খাজনা প্রদান ও ভোগ-দখল করে আসছে। হঠাৎ কিছুদিন থেকে উক্ত বিবাদীগণ জমিটির মালিকানা দাবী করলে ঐ দলিলের বিপরীতে সাম্প্রতী মৃত হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন(৫০) বাদী হয়ে কোর্টে দলিল রদের মামলা করেন। এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্যদের একাধিক শালিস-বৈঠকে তারপক্ষে রায় রয়েছে।
তার বোন জানান, “আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়া স্বত্তেও নায় বিচার পাচ্ছিনা! আইনত তারা ঐ জমির প্রাপ্য হলে পাশেই আরও ০৫ শতক রয়েছে। কিন্তু এভাবে অন্যায় বেধরক মারপিট উচিত হয়নি। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই!”
এ প্রসঙ্গে মহাদেবপুর থানার এস আই ও তদন্ত অফিসার সামিউল বলেন, “এরুপ ঘটনার তদন্ত চলছে। আমি মহাদেবপুর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমার জানামতে উভয় পক্ষই কম বা বেশী আহত হয়েছে। বিবাদীপক্ষ বতর্মানে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছে।” পরবর্তীকালে ১৭মে ২৩ রাত আটটায় মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, বিষয়টি মামলার জন্যে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হলে এটি রেকর্ড করা হবে।