মুজাহিদ হোসেন,বদলগাছী প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) সংস্কার কর্মসূচির অধীনে বাস্তবায়িত প্রকল্প নিয়ে চলছে নয়ছয়। উঠেছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। কোনো কোনো প্রকল্পে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে তদারকি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বরাদ্দকৃত বেশিরভাগ টাকা পকেটস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে।
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলার বদলগাছী বাঁধের পাকা রাস্তা হতে কেন্দ্রীয় ও আশ্রমের রাস্তায় মাটি ভরাটসহ ইট সোলিং করণ কাজে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৬৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর এই প্রকল্পের জন্য বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী ভগিরত কুমারকে প্রকল্প সভাপতি করে নামমাত্র কাজ করা হয়েছে বলে জানা যায়। নামেমাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রকল্প সভাপতি শ্রী ভগিরত কুমার বলেন, বদলগাছী বাঁধের পাকা রাস্তা হতে কেন্দ্রীয় ও আশ্রমের রাস্তায় মাটি ভরাটসহ ইট সোলিং করণ কাজে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৬৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এটা আমি জানি না তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ হয়েছে ১ লক্ষ বা সোয়া লক্ষ টাকা। এছাড়াও কয়েকটা ইট ভাটা থেকে অনুদান স্বরুপ কিছু (২ হাজার ৭শ) ইট আনা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ করেছেন বদলগাছী ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কাবিটা প্রকল্পের কাজ করার সময় প্রকল্পের নাম, টাকার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করে নামমাত্র রাস্তার কাজ করা হয়েছে। কাগজপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের বরাদ্দ ৩,৪০,৪৬৮ টাকা। আর সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী কাজ হয়েছে ১,২৫,০০০ টাকা। বরাদ্দ ৩,৪০,৪৬৮ টাকা আর কাজ হয়েছে-১,২৫,০০০ টাকা অবশিষ্ট ২,১৫,৪৬৮ টাকার কোনও কাজ হয়নি।
তৎকালীন দায়িত্বরত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.মাহাবুব আলমকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করার জন্য তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বর্তমান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ময়নুল ইসলাম বলেন, আগে যে পিআইও ছিলেন তিনি প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বলতে পারবেন। আমি কিছু বলতে পারবো না।