গোলজার রহমান,ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ
আর কদিন বাদেই কোরবানি ঈদ। আর এই ঈদকে সামনে রেখে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা, পাইকার ও পশু খামারিদের উপস্থিতিতে নওগাঁর ধামইরহাটে জমে উঠেছে কোরবানি পশুরহাট।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৩ হাজার ১১৭টি পশুর খামার রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজাকরণের মধ্য দিয়ে এসব খামারে ৩৯ হাজার ২৯৬ ছাগল, ৬ হাজার ১৬০ ভেড়া, ৬৫০টি মহিষ এবং ১৭ হাজার ৩০৮টি ষাড়, বলদ ও গাভী কোরবানীর পশু হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। যা গত বছরের চাইতে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার ৩৩৩ পশু।
রোববার (২৫ জুন) সকাল থেকে উপজেলা ধামইরহাটে বসে সাপ্তাহিক হাট বাজার। হাটে সকাল থেকে ভটভটি ও বিভিন্ন যানবাহনে করে স্থানীয় ও দূর দূরান্ত থেকে খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা গরু, খাসি, ছাগল, ভেড়া নিয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এ হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কুরবানী পশুর হাট।
ছাগল কিনতে এসে হাবিবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, কোরবানি পশু হিসেবে এবার ছাগলকে বেছে নিয়েছেন তিনি। অনান্য বছরের চাইতে এবার দামও বেশি মনে। সাধ্যের মধ্যে পেলে একটা ছাগল ক্রয় করবেন।
রুস্তম আলী জানান, সাত ভাগে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে একটি গরু কোরবানি দেবেন। এ কারণে তারা ভালো একটি গরু খুঁজছেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন।
আহসান হাবিব বলেন, ‘শখের বসে তিন মাসের মোটাতাজাকরণ প্রজেক্টে তিনি দশটি গরু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করেন এবং এগুলো বিক্রিও করেছেন। বাজারে প্রতিদিন যেভাবে গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে চলেছে এতে করে কর্মচারী রেখে গরু পালন করে খামারিরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন না। বরং হাত বদল হয়ে পশু ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ফরহাদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু রয়েছে। সুতরাং আমাদের এখানে ভারতীয় গরুর কোন প্রয়োজন নেই। এবছর হাটবাজারে চাহিদার সাথে কোরবানি পশুর দামও ভালো। ফলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীর ও খামারিরা।‘