সবুজ হুসাইন,নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ‘বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও একই স্কুলের সহকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াশিউর রহমান। প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। তাদের দাবী স্থায়ী ভাবে তাকে বরখাস্ত করা হোক।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ.স.ম শফি মাহমুদ এর স্বাক্ষরিত পত্র থেকে জানা যায় ‘প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি শিক্ষিকা অসামাজিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অধিকাংশ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এছাড়াও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে বুধবার তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেখেছি। স্কুল কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বদলগাছী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াশিউর রহমান বলেন, ‘বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও একই স্কুলের সহকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে অসামাজিক কর্মকান্ডের কিছু ভিডিও ফেসবুক সহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে উপজেলা মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি এবং স্কুলের কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার থেকে প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও সহকারি শিক্ষিকা কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপজেলার ‘বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও একই স্কুলের সহকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠে। এমন কিছু ভিডিও মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্কুলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ এর একের পর এক এমন নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী।
শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পর বুধবার বিকেলে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুন্ড ও বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম।