গোলজার রহমান ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে সাদিক সাদমান (৪) নামের এক শিশু ও সিয়াম (৮) নামের এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে।
রোববার (২০ আগষ্ট) সকাল দশটায় উপজেলা সদর বাজার ও হাটখোলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড হাটখোলা এলাকার আবু সুফিয়ানের ছেলে সাদিক সাদমান ও অমরপুর চন্ডিপুর এলাকার জনির ছেলে সিয়াম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত উপজেলায় ২২ জনকে কুকুর ও ৭ জনকে বিড়াল কামড় দিয়েছে। সকলেই ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেওয়ারিশ (পাগলা) পুকুরের অত্যাচার বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সীদের রাস্তাঘাটে দেখলেই কুকুর গুলো তেড়ে আসছে। একারণে ঘর থেকে বের হওয়া অনেকটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিশুরা।
তারা এও বলেন, গত দুই দিনে শিশুসহ চারজনসহ আরও অনেককে কুকুর কামড় দিয়ে গুরুতর যখম করলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে জলাতঙ্ক রোগীদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন ভ্যাকসি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সকালে বাড়ির বাহিরে খেলাধুলা করছিল ছেলে সাদিক সাদমান। হঠাৎ করে একটি কুকুর এসে দুই পায়ের উরুতে কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে অনেকখানি গর্ত করে ফেলে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেক কষ্টে বাহির থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে।‘
উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের স্টকে ২০০ পিস ভ্যাকসিন ছিল। কুকুর বিড়াল ও শিয়ালের আক্রমণে এ পর্যন্ত ২০০ জন ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ‘বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।‘