মাসুদ রানা,পত্নীতলা প্রতিনিধিঃ আকাশে জুড়ে সাদা মেঘের ভেলা, আর দিগন্তে জুড়ে কাশফুলের মেলা, শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক ।প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতেই মা দেবী দুর্গা ধরাধামে আবিভূত হন। সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার দূর করতেই এ পূজার আয়োজন।
শুক্রবার মহা ষষ্ঠীর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা এবং সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী শেষে মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে এ উৎসবের।
এদিকে হিন্দু পল্লীগুলোতে বাহারি সাজ সজ্জা, আলোকেসজ্জায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে, ঘর বাড়ী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বিভিন্ন আলপনার ছাঁপ ও নতুন কাপড় কেনাকাটা। দেবীর পূজা অর্চনা প্রতিমা দর্শন নানা রীতি নীতি পালন আত্মীয় স্বজনের আগমনে পত্নীতলার স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপগুলোতে মানুষের ঢল, ঢাকের তালে আরতি আর উলুধ্বনিত মুখরিত হয়ে উঠেছে মণ্ডপগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৮৫টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সদরে নজিপুর পৌরসভায় ১৬টি পত্নীতলা ইউনিয়ন ১০ টি।দিবর ইউনিয়ন ৫টি।আকবরপুর ইউনিয়ন ৪টি।মাটিন্দর ইউনিয়ন ৫টি।কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ৫টি।পাটিচড়া ইউনিয়ন ৮টি।নজিপুর ইউনিয়ন ১৫টি।ঘোষনগর ইউনিয়ন ৫টি।আমাইড় ইউনিয়ন ১২টি ।
সরেজমিনে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় বাসুদেব মন্দির, শিবকালি মন্দির, ছোট চাঁদপুর, ঠুকনি পাড়ার মোড়, পালশা, পুঁইয়া সহ কয়েকটি মন্ডপে দেখা যায় ভক্তদের উপচে পড়া ভীড়। আরতি খেলা শিশু কিশোরদের নাচানাচি ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র দে বলেন শান্তি পূর্ণভাবে পূজা শুরু হয়েছে কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সব সময় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিটি মণ্ডপে ৫ শ কেজি করে চাল সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আনসার সদস্য ও গ্রাম পুলিশ রয়েছে এবং মূল পয়েন্ট গুলোতে চৌকস অফিসার রয়েছে, টহল পুলিশ রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলার খবর শোনা যায় নি। আশা করছি শান্তি পূর্ণ পরিবেশে পূজা শেষ হবে।