নওগাঁ নিউজ ডেস্কঃ
নওগাঁর রাণীনগরে তিন জুয়াড়ীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদতণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার ৬ মে সন্ধ্যার দিকে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে জেলার আত্রাই উপজেলার সাহেগঞ্জ এলাকার রহিদুল ইসলামকে সাতদিন, একই উপজেলার জামালগঞ্জ গ্রামের রিয়াদ হোসেনকে ২০দিন এবং রাণীনগর উপজেলার খট্রেশ্বর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে তাবাসসুম।
পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, এদিন বিকালে উপজেলা সদরের খট্রেশ্বর হাদিপাড়া মাঠের মধ্যে জুয়া খেলা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। জুয়ার আসরে হানা দিয়ে ওই তিন জুয়াড়ীকে গ্রেপ্তার করে অভিযানের সদস্যরা। এরপর জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তার তিন জুয়াড়ীকে মোবাইল কোর্টের বিচারক উক্ত রায় প্রদান করেন।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ, পুলিশের অফিসার-ফোর্স ও উপজেলা সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু রায়হান।
অপরদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। গত রবিবার ৫ মে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জি আর সাজা পরোয়ানায় ৫জন, গাঁজাসহ ২জন এবং নিয়মিত মামলার ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধনপাড়ার আফজালের ছেলে হালিম (৩৬), একই এলাকার রইচ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪৮) ও ইলি সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), তেবাড়িয়ার মলিন সরদারের ছেলে আ: রাজ্জাক এবং বিলবাড়ির আনিছারের স্ত্রী ছামেনা বিবি (৩৪)কে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকে ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।
ওসি বলেন, উপজেলার পারইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলার আসামী বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওই এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (৫৩) ও তার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৩)। এছাড়া উপজেলার কয়াকাঞ্চি এলাকার মৃত ইয়াছিন মৃধার ছেলে মমিন ওরফে জহুরুল ইসলামকে (৩৬) কে ৪০ গ্রাম গাঁজাসহ ও গোনা এলাকার পশ্চিম পাড়ার লোকনাথ প্রাং এর ছেলে ফরিদ হোসেন (৪০) কে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, থানা পুলিশ যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার আছে। আর আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। এই প্রতিনিয়তই মাদকের বিস্তার রোধে জড়িতদের আটক করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করছি। উপজেলায় মাদকের বিস্তারকে জিরো টলারেন্সে আনতে আমরা পুলিশ বদ্ধ পরিকর। তবে এরজন্য জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকসহ সচেতন ব্যক্তিদের সহযোগীতা চান তিনি। পাশাপাশি মাদকসহ যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং আগামীতেও চলবে বলে মন্তব্য করে এই পুলিশ কর্মকর্তা।