মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, নওগাঁ ম্যাটসের আঙ্গিনায় জমেছে কাশ ফুলের মেলা। পুরো চত্বরে কাশফুলে ভরে গেছে চারিদিকে ধবধবে সাদা ফুলগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। এ যেন কাশফুলের রাজ্যে পরিনত হয়েছে। এ দৃশ্য আকৃষ্ট করছে পথচারীদের।
শরতের হালকা হাওয়া আর ম্যাটসের কাশফুলের সাদা গালিচা যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে একাকার। কনক্রিটের শহর থেকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনকে প্রকৃতির কাছে সমর্পণ করার এ এক অনন্য সুযোগ।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়
নওগাঁর পত্নীতলায় মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেইনিং স্কুল (ম্যাটস) প্রাঙ্গনে কাশবন দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শুক্রবার, শনিবার ছুটির দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। দুই মাস পর পর ঋতু বদল হয়। এখন শরৎকাল। প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন শরৎ এর আগমনী বার্তা জানিয়ে দেয় ‘কাশফুল’। শরৎ ঋতুতে ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল ফুটে। কাশফুলের শুভ্রতাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় শরৎ এসেছে। এ সময় প্রকৃতিতে দিগন্তজুড়ে মাঠে প্রান্তরে কাশফুলের মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে।
শহুরে ব্যস্ত জীবন আর কোলাহলময় যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কাশফুলের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে কার না মনেচায় ।
তাই কাশবনের সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে । সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আকর্ষণীয় এই কাশবন দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। চলছে সেলফি তোলার প্রতিযোগিতাও। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, তরুণীরা খোঁপায় কাশফুল গেঁথে সেলফি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছে। শিশু, কিশোর নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার দর্শনার্থীদের পদচরনায় মুখর হয়ে উঠছে ম্যাটস চত্বর।
বাবার সাথে কাশফুল দেখতে আসা শিশু তাসনিয়া জান্নাত বলে সে এর আগে কাশফুল দেখেনি কাশফুল দেখে তার খুব ভাল লেগেছে সে কাশবনে ছবি তুলেছে কয়েকটি কাশফুল তুলেছে বাসায় নিয়ে যাবে।
কাশফুল দেখতে আসা সোহেল বলেন, ‘কাশফুল আমার খুব ভালো লাগে। তাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। কিছু কাশফুল তুলে মায়ের জন্য নিয়ে যাব। মা দেখলে খুব খুশি হবেন।’
কাশবাগানে ঘুরতে আসা শিউলি রানী বলেন, ‘কাশফুলের সৌন্দর্যে মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। আগে অনেক দেখা যেত। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এই গাছ। এর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।’
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের নজিপুর বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বর থেকে নজিপুর- বদলগাছি সড়কের এক কিলোমিটারের গেলে ম্যাটস ভবনের মূল ফটক ভেতরে ঢুকতেই চোখে পরবে ধবধবে সাদা কাশফুলের বন। অপূর্ব এক আরণ্যক পরিবেশ যা দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
ম্যাটস চত্বরে ঘাস বা আগাছা জন্ম নেয়, ক্লিনার বা জনবলের অভাবে সেগুলো পরিস্কার না কারায় বাড়তে থাকে সেখান থেকেই কাশ গাছের জন্ম হয় এখন এটি কাশবনে পরিনত হয়েছে।