মোঃ শাহআলম,ক্রাইম রিপোর্টার,নওগাঁঃ
পোরশার নিশকিন পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরি পদে চাকরির জন্য সভাপতিকে ৯,৭০,০০(নয় লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও চাকরি না পেয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী আঃ বছেদ ও তার ছেলে রাশিদুল। দেশের পট পরিবর্তনের পরও টাকা ফেরৎ না পেয়ে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন ঐ পরিবার। ওই যুবক উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের নিশকিনপুর দক্ষিণ পাড়ার আঃ বাছেদের ছেলে। ভুক্তভোগি রাশিদুল জানান, ওই
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির তদানিন্তন সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তার পূর্ব পরিচিত। প্রায় ৩ বছর আগে রাশিদুলকে তার স্কুলে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ১০ লাখ টাকা চান সিরাজুল ইসলাম মহুরী। রাশিদুল চাকরি পাবার আশায় নিজের সামান্য ৬ বিঘা জমি কট বন্ধক দিয়ে ৯,৭০,০০০ টাকার পুরোটা তুলে দেন সিরাজুলের হাতে। ২০২২ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে রাশিদুল নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে পরীক্ষার জন্য না ডেকেই ওই পদে সিরাজুলের বড় ভাইয়ের ছেলে মাসুদকে নিয়োগ দেন। এরপর থেকেই তিনি ওই টাকা ফেরৎ পাবার জন্য দ্বারে দ্বারে ধর্না দিচ্ছেন। ভুক্তভোগী রাশিদুলের ৬ বিঘা বন্ধক নেওয়া কৃষক ঐ জমি ফেরত দিতে নারাজ কারন টাকা দিয়ে বন্ধক নেওয়া জমি কমপক্ষে তিন বছর সে চাষাবাদ করতে দেবেন বলে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন। এদিকে চাকরিও নেই জমিও নেই অনাহারে অর্ধহারে জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার। তাতে করে তিন বছরে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হচ্ছে পরিবারটির। সিরাজুল মুহুরী সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা বললে সে জানায় কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে আরো কিছু টাকা পাবে। কবে নাগাদ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। সিরাজুল ইসলাম মহরীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ভিন্ন রকম কথা বলেন অনেক সময় আবার তৃতীয় ব্যক্তি মইনুল ইসলাম নামে জনৈক ব্যক্তির কথা বলে। সে জানায়, তাকে (ভুক্তভোগী) কে টাকা দেওয়া হয়ে গেছে অথচ ভুক্তভোগী জানাযন, ঐ টাকা লেনদেনের বিষয়ে জনৈক মইনুল ইসলাম কিছুই জানে না। এছাড়াও আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে জনৈক তরিকুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী রুনা বেগমের কাছ থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিরাজুল মহুরীর বিরুদ্ধে। এই সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরেজমিনে নিউজ সংগ্রহকালে সোমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আহমাদুল হক শাহ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে আমার বিদ্যালয়ের নিয়োগের বিষয়ে সাড়ে নয় লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও দলীয় নাম ব্যবহার করে ঘাটনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামবাসীদের নিকট হতে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা ইত্যাদি ভাতা’র নাম করে ১০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্য থেকে কোটি টাকা আর বিভিন্ন ভাতা’র নাম করে ৪০ লক্ষ টাকার মত টাকা আত্মসাৎ করেছে টাকা লোভী এই প্রতারক। এই সিরাজুল দলীয় নাম ব্যবহার করে উপজেলার ইউনিয়ন ভুমি অফিস, সাবরেজিস্টার অফিস সহ এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তার দূর্নীতির হাত নেই পর্যায়ক্রমে তার সকল লুটপাটের নিউজ প্রচার করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী। (চলবে)