মিলন চন্দ্র দেবনাথ, নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলা শহরের দক্ষিণ অংশ হাট নওগাঁ মহাশ্মশান ঘাটে এবং দহের ঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে সূর্য পূজা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ই নভেম্বর ২০২৪) সূর্যাস্তের সময় এবং শুক্রবার (৮ই নভেম্বর ২০২৪) সূর্যোদয়ের সময় এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময়ে এই পূজা অনুষ্ঠিত হলেও সূর্যাস্তের এবং সূর্যোদয়ের প্রায় এক ঘণ্টা আগে থেকে দেবতা সূর্যের উদ্দেশ্যে শতশত নারীগণ নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর ধারে জলে নেমে হাত জোড় করে প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন। আগের দিন বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর পর এবং পরের দিন শুক্রবার সূর্যোদয়ের পর পর এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। নদীটির পূর্ব এবং পশ্চিম ধারে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই পূজায় যেমন শত শত ভক্তের সমাগম ঘটে তেমনি হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমনও ঘটে। বিশেষ করে নওগাঁ জেলা শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের (সনাতন ধর্মাবলম্বীদের) পশ্চিমা জনগোষ্ঠী প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও এই পূজার আয়োজন করেন। সূর্য পূজা উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ফলমূল, ধুপ, আগরবাতি, মিষ্টি, সন্দেশ,বাড়িতে তৈরি নানা রকম মসলাযুক্ত খাবারসহ পূজার নানা সামগ্রীর আয়োজন করে থাকে। দেবতা সূর্যের উদ্দেশ্যে এইসব নিবেদন করে তারা প্রার্থনা মগ্ন থাকেন। সূর্য দেবতা কে স্মরণ করতে এবং দেবতা সূর্যের কাছে মনের বাসনা পূরণের জন্য তারা এই পূজার আয়োজন করে থাকেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পশ্চিমা জনগোষ্ঠীর মাঝে সকলের নিকট অত্যন্ত সুপরিচিত নওগাঁ জেলা শহরের হাট নওগাঁর শ্রী শ্রী রীঁ বুড়া মাতা কালী মন্দিরের সেবায়েত চিতু মহতোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, প্রত্যেক বছরে তারা অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে নওগাঁ জেলা শহরের ছোট যমুনা নদীর তীরে মহাশ্মশান ঘাট,দহের ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে তাদের সম্প্রদায় এই পূজার আয়োজন করে থাকেন। এই সময় তাদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপক সমাগম ঘটে থাকে।
কোন রকম বিশৃঙ্খলা ব্যতীত শান্তিপূর্ণভাবে এইবারও পূজা অর্চনা করেছেন। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরেও সূর্য পূজার সময় তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। নিজের পরিবার, দেশ ও বিশ্ব শান্তির জন্য তারা দেবতা সূর্যের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন।