মিলন চন্দ্র দেবনাথ, নওগাঁ।
নওগাঁ শহরের দক্ষিণ এলাকায় আজ উৎপাদকের হাট বাজারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁ সাহানাবাগ সিটি পার্কের ১ নং গেটে উৎপাদকের হাট বাজারের শুভ উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত নওগাঁ সাহানাবাগ সিটি পার্কের স্বত্বাধিকারী জনাবা আক্তার সাহানা আলম।
লাল ফিতা কেটে শনিবার সকাল ৭টায় অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে তিনি এই বাজারের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আস্তানুর রহমান স্কুলের সভাপতি আর্কিটেক্ট তৌফিকুল আলম সুজিত এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ প্রবাহ প্রি ক্যাডেট এ্যান্ড গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনসহ সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
বিরতিহীনভাবে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত উৎপাদকের হাট বাজারের কার্যক্রম চলবে বলে আক্তার সাহানা আলম জানান। প্রথম দিনে সহস্রাধিক ক্রেতা বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয় উৎপাদকের হাটবাজার প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানস্থল। উল্লেখ্য যে, শহরের আরজী নওগাঁ দুবলহাটি রোড সংলগ্ন সাহানাবাগ সিটি পার্কের ১ নং গেটে প্রতিদিন উৎপাদকের এই হাটবাজারের কার্যক্রম চলবে।
নওগাঁ শহরের দক্ষিণ অংশ বাসী তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় নানা রকম জিনিস এখান থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। এখান থেকে তারা প্রতিদিন মাছ,মাংস, ডিম, নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সামগ্রী মরিচ, আলু, পটল, বেগুন, মুলাসহ যাবতীয় তরকারি ও খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রেতারা ক্রয় করতে পারবেন।
হাঁটতে হাঁটতে এসে প্রতিদিন আবাসিক এলাকার ক্রেতাগণ অতি সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখান থেকে ক্রয় করতে পারবেন। উৎপাদকের হাট বাজারের প্রথম দিনেই বিক্রেতাদের মাঝে বাজিমাত। কারণ, বিক্রেতারা যে যার মতো করে জিনিস নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফুরে গিয়েছিল। কিছু বিক্রেতা পরপর তিন বার নিয়ে এসে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রেতাদের মাঝে বিক্রয় করেছেন।
প্রতিদিন বিকাল ৪ঃ০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ঃ০০টা পর্যন্ত নানারকম পিঠা সামগ্রী উৎপাদকের এই হাটবাজার স্থলে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে প্রথম দিনেই উৎপাদকের এই হাটবাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও স্বল্প পরিসরে বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।