শহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রামঃবাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় তোফখানা রোডস্হ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি সোহেল আহমেদ এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমএসএফ উপদেষ্টা দৈনিক রুপালীদেশ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক মনি। বিএমএসএফ নিজস্ব গঠনতন্ত্রে পরিচালিত হচ্ছে ট্রাস্টিনামা দলিলের অন্তর্ভুক্ত নয়, বিএমএসএফ ট্রাস্টিনামা দলিল একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান, কোনো সাংবাদিক সংগঠন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নয়। দলিলের বর্নিত লেখার আইনগত ভিত্তি নিয়ে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সাধারণ সভায় কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন আনসারী, সাইদুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খান, মোশারফ হোসেন নীলু, যুগ্ম সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সহ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত তুহিন, আব্দুল হালিম সাগর, আমিনুল ইসলাম আহাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ, তথ্য গবেষণা প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবুল হাসান বেল্লাল, ট্রাস্টি সদস্য রফিকুল ইসলাম, মঞ্জুর মোর্শেদ, মাহবুব আলম, সেলিম নিজামী, নারী সম্পাদক সানজিদা আক্তার, শাওন বাধন, মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল,কামরুল ইসলাম, নিয়াজুল হাসান, বরুন মজুমদার, গোলাম রসুল বাবু, আমিনুজ্জামান রিপন, আবছার কামাল, হাফিজার রহমান, সাইদ টিটু, রফিকুল ইসলাম মাসুদ, মোহাম্মদ ইউনুছ অভি, হাফেজ ইব্রাহিম মাহমুদ, মোঃ হেলাল, শায়েখ মাহমুদ, নোহান ভূইয়া শ্যামল, সোহেল রানা নওগা, আরাফাত হোসেন হিমেল, এ কাদির, শাহ আলম, কায়সার জুয়েল, শরীফুল, ইসলাম রতন, মামুন, ফরহাদ খান আকাশ, রফিকুল ইসলাম রনি, তানভীর খান, জাহাঙ্গীর, মিজান,রানা মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ),”ফোরাম”শব্দটি থাকার কারণে সরকারের কোন দপ্তরে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ নাই। শুধু মাত্র সংগঠনের নাম কপিরাইট এবং লোগো ট্রেড মার্ক করে একটি সাংবাদিক সংগঠন চলতে পারে না। যদিও সংগঠনের নিজস্ব গঠনতন্ত্র আছে, ১২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি আছে। কারো অন্যায় আবদার, নিয়ম বহির্ভূত স্বৈরাচারী কর্মকান্ড, স্বেচ্ছাচারিতা, বিকাশবাজী, অন্যায় আচার আচরণে বৈরিতা সৃষ্টি, সংগঠনের মাঝে একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথাবার্তা, বিশৃংখলা সৃষ্টি করা, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নিয়ে সম্মানী লোকের, সম্মানহানী করা, সাংবাদিক সংগঠনের নির্বাহী কমিটির কাজে বাধাগ্রস্ত করা নেতৃত্বকে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ট্রাস্টিবোর্ড একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান, কোন সাংবাদিক সংগঠন নয় কিন্তু বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ নামে ট্রাস্টিনামা দলিল সৃজন করে একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা হয়েছে। এর কাজ কি ট্রাস্টি দলিলে উল্লেখ আছে। দলিলে যা উল্লেখ করা হয়নি যে কাজটি ট্রাস্টি চেয়ারম্যান করার ক্ষমতা রাখেন না বা তার বৈধতা নেই, সেই অসাংবিধানিক অসাংগঠনিক কাজগুলি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে করে যাচ্ছেন। তার কর্মকান্ডে নেতৃবৃন্দ ব্যথিত লজ্জিত ও মর্মাহত। নেতৃবৃন্দ বলেন বিএমএসএফ সাংবাদিক সংগঠনকে কুক্ষিগত জিম্মি করে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন শাখা কমিটি গঠনের ঘোষণা, বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতাদের বহিস্কার পদ পদবী স্থগিত, বাতিল, বহাল গুরুত্বপূর্ন ইস্যুতে সভার নোটিশ ইস্যু, ফেসবুকে প্রচার প্রকাশ করে সারাদেশের সাংবাদিকদের কাছে সাংবাদিক সংগঠনের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ডাকা সভাকে ট্রাস্টি আহমেদ আবু জাফর অবৈধ সভা বলে সদস্যদের মাঝে প্রচার প্রকাশ করে অবৈধ নোটিশ পর্যন্ত ইস্যু করেছেন।এ পর্যন্ত তিনি যা কিছু করেছেন মানহানিকর, অসাংগঠনিক, অসাংবিধানিক কর্মকান্ড। নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে কোন ভাবেই তাকে সাংগঠনিক বৈধ কর্মকান্ডের সুপথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সাংবাদিক সংগঠনটির সার্বজনীন গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত করতে বাধাগ্রস্থ হয়েছি। এ সময় সেলিম নিজামী সংগঠনের সাংবাদিকদের গঠনতন্ত্র সার্বজনীন ভিত্তিতে পরিচালিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন তিন দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস প্রাদান করলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।