সাদ্দাম হোসেন মহাদেবপুর প্রতিনিধি. নওগাঁর মহাদেবপুরের রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী পদে নিয়োগের জন্য তাকে ৫ জনের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা অফিস। এর আগে ৪০ জন শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল জমা দিয়েছেন। সে অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার। সে অনুযায়ী আগামী সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ওই প্রতিষ্ঠানে তদন্ত করবেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রতি কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী, নৈশ প্রহরী এবং আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার প্রামানিক তার নিকট আত্মীয়সহ কিছু পরিচিত লোকজনকে উপরোক্ত পদ সমূহে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গোপনে উদ্বুদ্ধ করে গোপনে ৫ জনের কাছ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকা গ্রহণ করেছেন এবং তাদেরকে চাকুরী দিবেন বলে নিশ্চিত ভাবে আশ্বস্ত করেছেন এবং সে ভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযোগে তারা আরও বলেন, সরকার ঘোষিত যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে পছন্দের অযোগ্য লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার এ প্রক্রিয়ায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। সরকারের প্রশংসিত ও মহোতি উদ্যোগকে বানচাল করে অযোগ্য লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার এ কার্যক্রম অনতি বিলম্বে স্থগিত করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যেও দাবি করেন তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী কালীপ্রসাদ কুমার মন্ডল বলেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে প্রধান শিক্ষকের ভাগিনা সুকান্ত ভৌমিক (সুইট), নৈশ্য প্রহরী পদে হরেন মণ্ডলের ছেলে মৃদুল মণ্ডল, নিরাপত্তাকর্মী পদে মৃত শ্রীচরণ বৈরাগীর ছেলে অর্জুন কুমার বৈরাগী, অফিস সহায়ক পদে নকুল কুমার পালের ছেলে বিমান কুমার পাল, আয়া পদে রসুলপুর গ্রামে জাকির হোসেনের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার সুমিকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে আবারও নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার প্রামাণিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যে। আমি কারো কাছে টাকা নেয়নি। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।