পত্নীতলা, প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর ছাত্রীদের যৌন হয়রানী ও নিপীড়নে থানায় মামলা, প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেকেন্দার আলী উপজেলার হাসেন বেগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং হাসেন বেগপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বর্তমান নজিপুর আলহেরা পাড়ার বাসিন্দা ।এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আরও কয়েকজন ছাত্রীর মাদের সাথে নিয়ে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার কে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। থানা সূত্রে জানা যায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগে গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে স্কুলে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদরা তদন্তে প্রাথমিক সত্যত্যা পাওয়ায় সেকেন্দার আলী (৪৯) কে আটক করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরন করেছেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০১০ এর ১০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ৫ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় তার মেয়ে (৯) স্কুলের বাথরুমে যায়। মেয়ে বাথরুমে থাকাকালীন সময় আসামী মোঃ সেকেন্দার আলী বাথরুমের দরজায় টোকা দেয়। মেয়ে বাথরুমের দরজা খুলে বের হওয়া মাত্রই আসামী মোঃসেকেন্দার আলী তার মেয়েকে অশ্লীল কথা বার্তা বলে এবং মেয়েকে ঝাপটাইয়া ধরিয়া জোর পূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ীতে ফিরে কান্নাকাটি করিয়া ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। এ বিষয়ে স্থানীয় বিদাসু তির্কী( ৫০),সোহাগী তিগ্যা (৩০), সহ আরও অনেকে জানেন বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের আরও ৫ জন শিশু ছাত্রীদের সহিত গত ৪/৫ মাস ধরে শ্রীলতাহানী করিয়া আসিতেছে বলে উল্লেখ করেন। এরআগে ওই বিদ্যালয়ের ১১জন অভিভাবক ছাত্রী হয়রানী ও নিপীড়নে বিষয়ে পত্নীতলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর এমন নেক্কারজনক কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ে অন্যান্য ছাত্রীরা স্কুলে যেতে চায় না, অভিভাবকরাও হতাশায় চিন্তিত এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন সুশীল সমাজ ও অভিভাবক বৃন্দ এ বিষয় পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্তে প্রাথমিক সতত্যা পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে এরেস্ট করেছি, মামলা রুজু হয়েছে আসামীকে সকালে আদালতে প্ররণ করা হয়েছে ।