সাদ্দাম হোসেন,মহাদেবপুর প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরে আত্রাই নদীর উপর জরাজীর্ণ ব্রীজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ব্রীজ মেরামতের নামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পত্নীতলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক তার পছন্দের ঠিকাদারের মাধ্যমে বিনা টেন্ডারে কাজ করে লাখ লাখ টাকা তছুরপাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ওই প্রকৌশলীর দপ্তরে তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন সংবাদকর্মীর কাছে। এ জরাজীর্ণ লৌহ সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করা বিভিন্ন যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটিসহ পথচারীরা প্রায় প্রতি দিনই দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে গুরুতর আহত হচ্ছে। জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু ১৯৯৪ সালে এ লৌহ ব্রীজটি নির্মাণ করেন। নির্মিত এ লৌহ ব্রীজের ওপর দিয়ে অতিরিক্ত মালামালবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে ২০১৪ ইং সালে ব্রীজের একাধিক স্থানের পাটাতন ভেঙে পড়াসহ ব্রীজের উভয় পাশের অধিকাংশ রেলিং চুরি হয়ে গেছে। ফলে ঐ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুটি ঝুঁকিপুর্ন ঘোষণাসহ সেতুর উপর দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রীজের উপর দিয়ে অতিরিক্ত মালামালবাহী এবং সকল যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও চালকরা মানছেনা সেই নিষেধাজ্ঞা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ৩ বছর ধরে জরাজীর্ণ সেতুটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোন টেন্ডার ছাড়াই দফায় দফায় সেতুটি মেরামতের নামে জোরা তালি দিয়ে লাখ লাখ টাকা তছরুপ করে। লাখ লাখ টাকা খরচে ঐ সময় সেতুটি মেরামত করা হলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারো পাটাতন ভেঙে একাধিক যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পত্নীতলার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর যোগসাজশে একই ঠিকাদার দফায় দফায় ব্রীজ মেরামতের নামে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জরাজীর্ণ লৌহ ব্রীজটি সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।