গোলজার রহমান,ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয় পার্টির অফিসসহ দুইটি গার্মেন্টস একটি লেপ ও তোষক তৈরির দোকানসহ একটি ওষুধের দোকান ঘরে অগ্নিকাণ্ডে পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন দোকান মালিকেরা।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ভোর চারটায় উপজেলা সদরে ঘটেছে এমন ঘটনা। খবর পেয়ে পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা এসে দ্রুত আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনবির জায়গা অবৈধভাবে দখলে থাকা জাতীয় পার্টির অফিস ও ওষুধের দোকানে দুইটি সোলারের ব্যাটারি ছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে কাপড়সহ অন্যান্য দোকানে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আহম্মদ ও নূর ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেন সুইচ বন্ধ করে দোকানের ঝাপ লাগিয়ে তাঁরা বাসায় ফিরেন। ভোর চারটায় জানতে পারেন দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখেন তাঁদের দোকানের সকল মালামাল পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।‘
অপর সাদ বেডিং হাউজের দোকান মালিক ছাইদুর রহমান বলেন, ‘লেপ, কাথা, জাজিং, গদির কাপর, তুলাসহ ৭ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল তাঁর দোকানে। এগুলো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে সর্বশ্রান্ত হয়ে পড়েছেন।‘
পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সোলারের ব্যাটারি থেকে নয়। পাশের তুলার দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর জাতীয় পার্টির অফিসসহ ওষুধের দোকানও পুড়ে যায়।‘
ওষুধ বব্যাবসায়ী মুসা বলেন, ‘রাত আনুমানিক ১১ টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরেন। ভোরে জানতে পারেন তার দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখেন দোকানের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ওষুধ সব পুড়ে কয়লা হয়েছে।‘
পত্নীতলা ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মো. রায়হান ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত এসে রিজার্ভ ট্যাংকের পানি দিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণেই হয়েছে। এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।