মোঃ আলমগীর হোসেন,পতিসর নওগাঁ থেকেঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী আজ । ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।এ বছর উৎসবের জাতীয় আয়োজন ছিলো কবির নিজস্ব জমিদারি নওগাঁর পতিসরে। এ জন্য ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
প্রথম দিনে ৮মে অনুষ্ঠানে আজ সভাপতি জনাব কে এম খালিদ এমপি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থি থাকবেন নওগাঁ ৩ জনাব ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল( জন) মাননীয় সংসদ সদস্য নওগাঁ ৫ জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল মাননীয় সংসদ সদস্য নওগাঁ ৬ প্রফেসর ডাক্তার মোঃ শাহ আলম উপাচার্য রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় জনাব খালিদ মেহেদী হাসান বিপিএএ জেলা প্রশাসক নওগাঁ জনাব মোঃ রাশেদুল হক পুলিশ সুপার নওগাঁ ও জনাব মফিদুল হক ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর। আলোচক প্রফেসর ডঃ মোঃ আশরাফুল ইসলাম অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত রাজশাহী কলেজ রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ।
এরপর ক্রমান্বয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন দেশ বরেণ্য রবীন্দ্র আলোচক বৃন্দ। থাকবে রবীন্দ্র নাচ ও গানের আয়োজন। পতিসরের ঐতিহাসিক সেই দেবেন্দ্র মঞ্চে এসব অনুষ্ঠান মঞ্চায়িত হবে।
এরই মধ্যে এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে আত্রাইয়ে পতিসরে রবীন্দ্রনাথে কাচারি বাড়িকে সাজানো হয়েছে নতুন রুপে। নাগর নদের কোলঘেষে বসেছে গ্রামীণ মেলা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীর স্মৃতিময় কিছু কথা যেমন শিলাইদহ শাহজাদপুর পতিসর , তিন এলাকায় জমিদারি কর্মসূত্রে রবীন্দ্রনাথের আসা-যাওয়া ও অবস্থানের কথা সবার জানা কিন্তু প্রকৃত কর্মভূমি কীভাবে তার মানুষ গঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল। সেটা গভীরভাবে অনুভব করা হয়নি আজও।
কবি রবীন্দ্রনাথের পরিবার শিল্প মানুষ উজ্জীবন বিষয়ে বুঝতে হলে তার জীবনের এই পর্বের গভীরভাবে অনুধাবন করা দরকার। এক্ষেত্রে শিলাইদা শাহজাদপুরের উপর গবেষক বিশ্লেষকদের গভীর দৃষ্টিপাত ঘটলেও পতিসর ছিল অনেকটাই অবহেলিত। অথচ এই পতিসরে রবীন্দ্রনাথের পল্লী চিন্তা, কৃষি ভাবনা, শিক্ষা, প্রকৃতিও স্বদেশ ভাবনা আশ্চর্যজনক সংহতি অর্জন করেছিলেন।। সে দিকগুলো বিবেচনা করেই জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী সরকারের বিশেষ প্রচেষ্টায় কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমুখী উন্নয়ন যোগ্য করে যাচ্ছে এরপর ক্রমান্বয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন দেশ বরেণ্য রবীন্দ্র আলোচক বৃন্দ। রবীন্দ্রনাথ ঠ দাঁড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে সাদা মেঘ কালো মেঘ, আমাদের ছোট নদী চলে আকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
১৮৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ অঞ্চলের জমিদারি কেনেন। ১৮৯০ সালে সেই জমিদারি দেখাশোনার জন্য এ অঞ্চলে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পতিসরের এই কাচারিতে অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশ কিছু কাব্য, গল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেন। কাজ শুরু করেন সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। এখানে তিনি একটি বিদ্যালয়,দাতব্য হাসপাতাল ও একটি কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেছিলেন। এছাড়াও গড়ে তুলেছিলেন মৃৎশিল্প।