মাহাবুবুজ্জামান সেতু,মান্দাঃ বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার পদে চাকুরী দেওয়ার নামে ভূয়া নিয়োগ (যোগদান) পত্র দিয়ে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেলিম রেজা বিদ্যুৎ নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। জানাগেছে, ভূক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক পেশায় একজন সিনিয়র ড্রাইভার । তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের ইনায়েতপুর গ্রামের মৃত আমির হেসেনের ছেলে। অপরদিকে প্রতারক সেলিম রেজা বিদ্যুৎ একই গ্রামের গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে।ভূক্তভোগী জানান,প্রতারক সেলিম রেজা বিদ্যুৎ বাংলাদেশ সচিবালয়ের বস্ত্র ওপাঠ মন্ত্রনালয়ে এম,এল,এস,এস পদে চাকুরীর করেন বলে দাবি করেন। সচিবালয়ে চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন সচিব,মন্ত্রী, ও সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে তার সাথে যোগাযোগ আছে মর্মে চাকুরী দিতে পারবেন বলে ভূক্তভোগীকে আশ্বস্থ করেন। এরই একপর্যায়ে বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার পদে নিয়োগের জন্য তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন এবং কথা দেন যে, নিয়োগ পত্র ও যোগদান পত্র দ্রুত সরবরাহ করবেন। কিছুদিন পর গত ইং ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বরে আরো ২০ হাজার টাকা দাবী করায় তিনি (ভূক্তভোগী) কৃষি ব্যাংক, প্রসাদপুর মান্দা, নওগাঁ হিসাব নং- ১৩৯০৪ চেক নং- RB ৬৫১৮৮৬৫, তে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। একই তারিখে ০৫২-২০৮৯৩০৭১৩৬০৯২ নম্বরের স্মারকে “ড্রাইভার পদে একটি ভূয়া যোগদান পত্রের ফটোকপি প্রদান করেন এবং বলেন যে, ইং ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারিতে যোগদান সম্পন্ন হবে। পরের দিন প্রতারক সেলিম রেজা বিদ্যুৎ মোবাইলে জানান যে, করোনা মহামারির কারণে যোগদান কার্য বিলম্বিত হবে। পরে জানানো হবে ” কিন্তু আর জানানো হয়নি। পরবর্তীতে তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।এরপর গত ইং ২০২২ সালের ৬ জুলাই সাক্ষীসহ অভিযুক্ত সেলিম রেজা বিদ্যুৎ এর বাড়ীতে গিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মারপিট করার হুমকি প্রদান করেন এবং টাকা, যোগদান/চাকুরি কোনটায় দিবেন না মর্মে জানান। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানো ভূক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়েরসহ একাধিকবার লিগ্যাল নোটিশ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। এর থেকে তিনি পরিত্রাণ পেতে চান। অভিযুক্ত সেলিম রেজা বিদ্যুৎ এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, গত কয়েকদিন বিষয়টি ভূক্তভোগী জানিয়েছে। বাদী এবং বিবাদী তারা দ’জনে একই এলাকার এবং একে অপরের আত্মীয়। তবে, অভিযোগের বিষয়টি কতদূর সত্য তা উভয়ের কাছ থেকে সরাসরি শোনার পর একটা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।