মাসুদ রানা,পত্নীতলা প্রতিনিধিঃ
উত্তরের হিমেল হাওয়া আর সকালের ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতায় নাকাল নওগাঁ পত্নীতলার মানুষজনরা । জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। চরম বেকায়দায় ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। হাড়কাঁপানো শীতে যবুথবু মানুষজন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্ৰি রেকর্ড করা হয়েছে।নওগাঁ বদলগাছি আবহাওয়া অফিসের টেলি প্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন বিষয়টি জানিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবার কোন দিন সারাদিনই কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে পুরো জেলা। দু একদিন সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা বা প্রখরতা তেমন দেখা যায় না। সকালে ১০ হাত দুরে কি আছে দেখা যায় না
ঘন কুয়াশায় উপজেলার কয়েক জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সন্ধ্যা নেমে রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের নামে ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে থাকে মৃদু বাতাস।
এদিকে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাজে যেতে পারছেন না তারা। এছাড়া দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
উপজেলার সদর নজিপুর ইউনিয়নের কৃষক আলোক সকালে বোরো ধানের বীজতলায় নেমেছেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বরফ গলা পানিতে নেমেছি। ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। দিনমজুর আকবর বলেন, হাড়কাঁপানো শীত। সবাই কষ্টে আছেন। অনেকে খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কয়েকজন কৃষক জানান তীব্র শীতের কারনে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
গোল চত্বরে ভ্যান নিয়ে দাড়িয়ে থাকা বক্কর আলী বলেন অনেক শীত কয়েকদিন ধরে এমন শীত হচ্ছে পরিবারের খাবার জোগার করতে ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছি শীতের কারনে ভাড়া হচ্ছে না রাস্তায় মানুষজন তেমন নেই।
এ দিকে তীব্র শীতের কারনে শিশু কিশোর ও প্রবীণরা শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে। জ্বর সর্দি শ্বাস কষ্ট ডায়রিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।