গোলজার রহমান, ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে সাপ্তাহিক হাটবাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে গৃহপালিত পশু গরু ও ছাগল ক্রয় বিক্রয় শুরু করেছেন হাট মালিকেরা। এতে করে পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বহুদিনের দাবি পূরণ হলো।
রোববার (১৮ আগষ্ট) বেলা তিনটার সময় উপজেলার সাপ্তাহিক হাটবাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র। ছাপা লেখক (মৌরিরা) খাজনা আদায়ের রশিদে গরু ৬০০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কমিয়ে ৫০০ টাকা ও ছাগল ৩০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকাসহ গ্রাহকের পুরো নাম ও ঠিকানা লিখে বিক্রয় করছেন গবাদি পশু গরু ও ছাগল। এতে করে খুশি হয়েছেন ক্রেতা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
হাটে পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হট মালিকেরা এর আগের (ঈদ বা বিশেষ দিনে) মাথাপিছু প্রতি গরু ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আদায় করতো। এছাড়াও বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও অতিরিক্ত ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হতো।
উপজেলার দাদনপুর এলাকার পশু বিক্রেতা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রোববার হাটে খাজনা আদায়ের রশিদের মধ্য দিয়ে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে গরু ও ছাগল বিক্রি করছেন ইজারাদারেরা।’ এতে করে পশু ক্রয় করতে (ছাফা লিখতে) আগের মত আর অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে না তাদের।
রঘুনাথপুর এলাকার মুহুরী (রশিদ লেখক) আনিছুর রহমান বলেন, ‘হাট ইজারাদারদের নির্দেশে গরু ৫০০ টাকা আর ছাগল ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এর আগেও তাই নেওয়া হত।’
অমরপুর এলাকার কাদের বলেন, ‘নাতির জন্য ৯০০০ টাকা দিয়ে দুইটি ছাগল কিনলাম। এ কারণে খাজনা রশিদ বাবদ ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে হাট মালিককে। এর আগে মাথাপিছু একটি ছাগল কিনতে হাট মালিককে দিতে হয়েছিল ৩৫০ টাকা। এবার দুইটি ছাগলের ছাপা করতে ২০০ টাকা করে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।’ এতে করে ৩০০ টাকা সাশ্রই হয়েছে বলে জানান।
হাট মালিক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গরু ও ছাগল কিনতে আসা ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা অতিরিক্ত টাকা নেই না। বরং সাধারণ ক্রেতাদের কথা ভেবে রশিদের মাধ্যমে সরকারের বেধে দেওয়া মূল্যে আমরা গরু ও ছাগল কেনাবেচা করি।’