নওগাঁ নিউজ ডেস্কঃ
আজ নওগাঁয় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে সকাল ৯ টায় একটি মনমুগ্ধকর র্যালি বের হয়। এই র্যালি শেষে জেলা প্রাণিসম্পদ কনফারেন্স রুমে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহফুজার এর সভাপতিত্বে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সহ সকল পর্যায়ে কর্মকর্তাবৃন্দ এক মুক্ত আলোচনা সভায় অংশ নেয়। “ডিমে পুষ্টি ডিমের শক্তি, ডিমে রোগ মুক্তি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে প্রাণবন্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভার মধ্যমণি নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও আলোচনাসভার সভাপতি ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বলেন, আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সকল কার্যক্রমের দিক থেকে সফল কেননা আমরা উৎপাদন ও ডিমের চাহিদা বৃদ্ধিতে সক্ষম হয়েছি। ফলেই ডিমের দাম বেড়েছে তিনি আরো বলেন,প্রাণিসম্পদের উৎপাদিত পণ্য যেমন মাংস, দুধ,ডিম ইত্যাদি বিপণনের ক্ষেত্রে আমাদের অধিদপ্তরের আলাদা উইং গঠন করা যেতে পারে।
এছাড়াও তিনি প্রান্তিক খামারিদের বিষয়ে আরো উল্লেখ করে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সার,বীজ ও কিটনাশক প্রণোদনা স্বরূপ দিয়ে থাকে। পক্ষান্তরে আমাদের খামার ও খামারিরা কোনরূপ ভর্তুকি পায়না। তিনি মনে করেন বর্তমানে ডিমের এই ক্রান্তি কাল সময়ে ডিমের চাহিদা মেটাতে এবং মুরগি ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধিতে একটি প্যাকেজ প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে; এর আওতায় একটি খাঁচা,দশটি মুরগি ও তিন মাসের খাদ্য সহায়তা দেয়া যেতে পারে। যারা এই প্যাকেজটি গ্রহণ করবেন তারা খুবই অল্প পরিশ্রমে মুরগি উৎপাদন ও ডিম খেতে পারবে। তারা রাত্রিকালীন সময়ে মুরগির খাচাটি রুমের মধ্যে নিতে পারবেন আবার সকাল থেকে সারাদিন রান্নাঘরে বা চুলার পাশে রেখে পরিচর্যা করতে পারবেন। তিনি এ প্রসঙ্গে মনে করেন, এভাবে ডিমের উৎপাদন যেমন একদিকে বাড়বে অন্যদিকে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার মধ্য দিয়ে মেধা ও পুষ্টি বিকাশের মাধ্যমে একটি সুন্দর জাতি গঠন করা সম্ভব।
সাপাহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ গোলাম রব্বানী বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যায় পরতে হয়। কৃষি বিপণন বিভিন্ন আইনে ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যান।তাই আমি মনে করি আমাদের অধিদপ্তরের নিজস্ব বিপণণ উইং পরিচালনা থাকা দরকার। শুধুই রমজান মাসে নয় বরং সারা বছর দুধ,ডিম ও মাংস বিপণনে আমাদেরকেই দায়ভার দেয়া দরকার।
নিয়ামতপুর উপজেলা প্রাণী কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, বেশ কিছুদিন আগে একটি গ্রুপ বা দুষ্টচক্র আমাদের পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপরে লেগেছিল। তারা মিথ্যাচার করে আসছিল এবং অপপ্রচার করে মানুষকে প্লাস্টিক ডিম বা প্লাস্টিক চালের কথা বলতো। আসলে বর্তমান ইন্টারনেটে যুগে এগুলো ভিত্তিহীন তিনি সকলকে অপপ্রচার বন্ধে সচেতন থাকতে বলেন।
আত্রাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু আনাস বলেন,
কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বন্যা পরবর্তী সময়ে ভর্তুকি দেয়া হয়; কিন্তু আমাদের খামারিরা কোন প্রণোদনা পাননা। তাদেরকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
এছাড়াও মান্দা উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরুজ্জামান, বদলগাছি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাজমুল হক, এলডিডিপি প্রকল্পের নওগাঁ সদর উপজেলার এলইও ডাঃ এম এ আওয়াল মুল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। এছাড়াও প্রাণী সম্পদ বিভাগ নওগাঁর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উক্ত প্রাণবন্ত ও নির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন।